আয়েশা নামের অর্থ কি এবং আয়েশা নামের ইসলামিক অর্থ কি সংক্রান্ত উত্তর পাবেন অব্যয় মিডিয়ার আজকের এই লিখায়। আজকে আপনাদের সামনে চলে এলাম Aysha namer ortho ki পোষ্ট নিয়ে।
আয়েশা বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত একটি নাম, জনপ্রিয়তায়ও শীর্ষ নামগুলোর এটি একটি।
আপনার শিশুর জন্য একটি সুন্দর নাম হতে পারে ‘আয়েশা’।
আয়েশা (Ayesha) নামটি মূলত মেয়েদের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। উচ্চারণে সাবলীল এই নামটি আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয়।
হয়ত আপনি আপনার পরিচিত কারোর সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের নাম খুঁজছেন, আর এখন সন্ধান করছেন, আয়েশা নামের অর্থ কি? আয়েশা কি ইসলামিক নাম? আয়েশা নামের আরবি অর্থ কি? আয়েশা নামের ইসলামিক অর্থ কি? আয়েশা নামের আরবি অর্থ কি? আয়েশা নামের ইংরেজি বানান কি? আয়েশা নামের সাথে আর কোন নামগুলো যোগ করা যায়? আয়েশা দিয়ে পূর্ণ কিছু নাম সাজেশন, ইত্যাদি।
আয়েশা নামের অর্থ নিয়ে আজকের লিখাটি পড়লে যেসব প্রশ্নের উত্তর পাবেন:
- Ayesha নামের অর্থ
- আয়েশা নামের অর্থ কি
- আয়েশা নামের অর্থ
- আয়েশা নামের ইসলামিক অর্থ কি
- আয়েশা নামের অর্থ কি বাংলা
- Ayesha name meaning
- aysha namer ortho ki
- Ayesha namer ortho ki
- Ayesha নামের অর্থ কি
আয়েশা কি ইসলামিক নাম?
আয়েশা (Ayesha) ইসলামিক পরিভাষার একটি নাম। আয়েশা (Ayesha) হলাে একটি আরবি শব্দ। আয়েশা নামটি সুন্দর একটি ইসলামিক নাম।
এটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রিয় স্ত্রীর নাম। তাঁর প্রতি ভালবাসার কারণে মুসলমান মেয়েদের নাম আয়েশা রাখা হয়।
আয়েশা শব্দটি ﻋﻴﺶ থেকে নির্গত হয়েছে যার অর্থ হায়াত, জীবন। সুতরাং আয়েশা অর্থ হবে-
১. জীবিত, জীবন্ত।
২. যার দীর্ঘ জীবনের কামনা করা হয়। এই অর্থটি শুভলক্ষণ হিসেবেই ধরা হবে। অর্থাৎ আয়েশা অর্থ তো জীবন্ত। এখন কারো নাম আয়েশা রাখার অর্থই হলো সে যেন জীবিত থাকে ছোটকালেই মৃত্যুবরণ না করে। তাই এতে দীর্ঘ জীবনের কামনা পাওয়া যায়।
৩. স্বাচ্ছন্দময় জীবনের অধিকারী। এই অর্থের মাঝেও সুখী হওয়া, স্বাচ্ছন্দ এবং আরামদায়ক জীবনের অধিকারী হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত পাওয়া যায়। আরবীতে উত্তম অবস্থার অধিকারী ব্যক্তিতে বলা হয়- ﺭﺟﻞ ﻋﺎﺋﺶ দেখুন, তাজুল আরসূস/২৮২-২৮৩। এ থেকেই উপরোক্ত অর্থটি গৃহীত হয়েছে।
শব্দের অর্থ যাই হোক মুসলমানগণ হযরত আয়েশা রা. এর প্রতি মহব্বতের কারণে মেয়েদের এই নাম রাখেন। কিন্তু এই নামের কি অর্থ হতে পারে তা উপরে আলোচনা করা হলো।
আয়েশা নামের অর্থ কি (Aysha namer ortho ki)
আয়েশা (Ayesha) নামের অর্থ হল সুখী জীবন যাপনকারী, সচ্ছল, সমৃদ্ধিশীল তত্ত্বাবধায়ক ।
আয়েশা নামের আরবি অর্থ কি
আয়েশা (Ayesha) নামের আরবি অর্থ হলো সুখী জীবন যাপনকারী, সচ্ছল, সমৃদ্ধিশীল ।
আয়েশা (Ayesha) কোন লিঙ্গের নাম?
আয়েশা (Ayesha) নামটি মেয়েদের নাম রাখার ক্ষেত্রে উপযোগী। সাদারণত ছেলেদের এই নামটি রাখা হয় না।
আয়েশা (Ayesha) শব্দের ইংরেজি বানান
আয়েশা (Ayesha) শব্দের ইংরেজি বানান Ayesha.
- সুন্দরবনের খলিশা ফুলের পদ্ম মধু কেন বিখ্যাত?
- পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব মোহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে জর্জ বার্নার্ড ‘শ এর কালজয়ী উক্তি
- মানব সৃষ্টির বিস্ময় “চিচেন ইতজা”এর ইতিহাস
আয়েশা নামটি কেন জনপ্রিয় ?
আয়েশা নামটি ইসলামিক,আধুনিক,কমন মর্ডান ও সুন্দর অর্থ সম্পন্ন একটি নাম|
উর্দু, আরবি ও হিন্দিতে আয়েশা বানান
- Urdu – عائشہ
- Hindi – आयशा
- আরবি – عائشة
আয়েশা (Ayesha) শব্দ দিয়ে কিছু নাম
রাইসা আয়েশা , আয়েশা আয়েশা , রুবাইয়া আয়েশা , আয়েশা মাহামুদ, আয়েশা নিহাদ, আয়েশা স্নেহা, আয়েশা রাইদা, মেহেজাবিন আয়েশা , সুমাইতা আয়েশা , আয়েশা রিফা, আয়েশা মিম, আয়েশা রুহি, আয়েশা আফসানা, মাইশা আয়েশা, আয়েশা সুলতানা
বিখ্যাত ব্যক্তি ও বিষয়
যে চার পারফেক্ট নারীদের নাম আল-কোরানে উল্লেখিত রয়েছে তার একজন আয়েশা, অন্য তিনজন ফাতেমা, খাদিজার এবং মরিয়ম।
এছাড়া আয়েশা (Ayesha) নামের বহু প্রতিভাবান মানুষ থাকলেও বিশ্ববরেণ্য বিখ্যাত কোনক ব্যক্তির বিষয়ের সন্ধান পাওয়া যায়নি। হয়তো আপনার সন্তানই হতে পারে এই নামের বিখ্যাত ব্যক্তি। কিংবা দেশের ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট!
হযরত আয়েশা রাঃ সক্ষিপ্ত জীবন পরিচয়
আয়িশা বিনতে আবু বকর ছিলেন ইসলামী নবী মুহাম্মদের স্ত্রীগণের মধ্যে একজন। [২] তিনি ছিলেন তার তৃতীয় স্ত্রী। ইসলামের ঐতিহ্য অনুসারে, তাকে “উম্মুল মু’মিনিন” বা “বিশ্বাসীদের মাতা” হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। মুসলিম সম্প্রদায় তাকে মুহাম্মদ স: -এর স্ত্রী হিসেবে অত্যন্ত সম্মান ও শ্রদ্ধা করে থাকেন। এছাড়া ইসলামের ঐতিহ্যগত ইতিহাসেও তার অবদান অনস্বীকার্য এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আয়িশা বিবাহ পরবর্তী সমস্ত জীবনে নবী মুহাম্মদ স: -এর সর্বাধিক প্রিয় স্ত্রী ছিলেন। যখন তিনি অসুস্থ হলেন এবং মৃত্যু নিকটবর্তী হওয়ার আশঙ্কা করলেন তখন তিনি তার স্ত্রীগণকে জিজ্ঞাসা করলেন, পরবর্তী ক্রমে তিনি কার ঘরে থাকবেন? যখন তার স্ত্রীগণ বুঝতে পারলেন যে তিনি আয়িশার সাথে থাকতে চাইছেন তখন তারাও তদানুযায়ী অনুমতি ও সম্মতি দিলেন। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি তার ঘরেই ছিলেন এবং তার এই সবচেয়ে প্রিয় স্ত্রীর বাহুতে মাথা রেখেই মুহাম্মাদ স: শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
কৃতিত্ব: ইসলামী জ্ঞান বিজ্ঞানে হযরত আয়েশা (রাঃ) ছিলেন নজির বিহীন। কুরআন হাদীসের জ্ঞান এবং ইসলামী শরীয়তের মাসআলা মাসায়েলের ব্যাপারে তিনি ছিলেন মহিলাদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়। প্রাচীন আরবের অবস্থা এবং প্রাচীন আরবী কাব্য সম্পর্কে তাঁর অসাধারণ বুৎপত্তি ছিল।
পবিত্রতা ঘোষণা: তাঁর বিরুদ্ধে ইফকের যে মিথ্যা ঘটনা রটানো হয়েছিল তা কুরআনের আয়াত দ্বারা খণ্ডন করে তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করা হয়।
মাসআলা প্রবর্তন: হযরত আয়েশা (রাঃ) কে কেন্দ্র করে ইসলামী শরীয়তের কয়েকটি মাসআলা প্রবর্তন হয়। যথা:- (ক) তায়াম্মুমের বিধান, (খ) অপবাদের শাস্তির বিধান, (গ) ব্যভিচারের শাস্তির বিধান।
হাদীস বর্ণনা: সর্বাধিক হাদীস বর্ণনাকারীদের মাঝে অন্যতম হলেন হযরত আয়েশা (রাঃ)। তিনি রাসূল (সাঃ) থেকে ২২১০ টি হাদীস বর্ণনা করেছেন। বুখারী ও মুসলিম যৌথভাবে ১৭৪ টি, এককভাবে বুখারীতে ৫৪ টি এবং মুসলিমে ৫৮ টি হাদীস উল্লেখ রয়েছে।
পরিশেষ, আয়েশা নামটি বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়াসহ মুসলিম বিশ্বের পছন্দের নাম গুলাের মধ্যে শীর্ষে থাকলেও বর্তমানে সৌদি আরব ও কাতারে নামটির বিশেষ জনপ্রিয়তা লক্ষণীয়।