বাংলাদেশের সামরিক শক্তির গর্ব বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হলো যু’দ্ধের ময়দানে জন্ম নেয়া একমাত্র সামরিক বাহিনী। এমনকি সামরিক বাহিনী গঠনের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই মুক্তিবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়ে তৎকালীন সময়ে পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী সামরিক বাহিনী পাকিস্তানকে পরাজিত করে।
বর্তমানে প্রশিক্ষণ, আকৃতি এবং পেশাদারিত্বে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ আর শক্তিশালী সামরিক বাহিনী। একারণেই জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি সৈন্য বাংলাদেশের। আজ আমরা জানবো বাংলাদেশের গর্বের এই সামরিক বাহিনীর শক্তিমত্তা এবং ক্ষমতার বর্ণনা।
আমাদের এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে বিভিন্ন দেশি বিদেশি পত্রিকা ও নির্ভরযোগ্য ইউটিউব চ্যানেল থেকে। নিজ দেশের গৌরব সম্পর্কে জানাতেই অব্যয় মিডিয়ার আজকের আয়োজন।
বাংলাদেশের সামরিক শক্তি
২০২০ সালের “গ্লোবার ফায়ার’পাওয়ার” সর্বশেষ র্যাংকিং অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান ৪৬ তম। সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হচ্ছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। সামরিক বাহিনী খাতে সরকারের ব্যয় প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা।
তথ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশের সামরিক শক্তি সংখ্যা ২ লাখের ওপরে এবং রিজার্ভে আছে আরো ৬৩ হাজার সৈন্য। তবে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের আরো ৫৩ হাজার সৈন্য দেশের যেকোনো ক্রান্তিকালে জীবন উৎসর্গ করতেও প্রস্তুত।
বাংলাদেশ প্রায় সকল উন্নত দেশ থেকেই অ’স্ত্র কিনে থাকে, তবে সব থেকে বেশি অ’স্ত্র কিনে চীন এবং রাশিয়া থেকে। এছাড়াও ভারত আমেরিকা তুরষ্ক এবং ইউরোপের দেশগুলো থেকেও অ-স্ত্র ক্রয় করে থাকে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হাতে আছে ২৭৬ টি ট্যাংক এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হচ্ছে চীনের তৈরি এমবিটি-২০০০ ট্যাংক। যা আল-খালিদ নামেও পরিচিত। এর পরেই আছে চীনের তৈরি ৫৮ টি টাইপ ৬৯ ট্যাংক।
তবে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর হাতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আছে বাংলাদেশে নিজেদের তৈরি ট্যাংক দূর্জয়। মোট ১৭৪ টি দূর্জয় ট্যাংক রয়েছে বাংলাদেশের কাছে। ট্যাংক ছাড়াও অন্যান্য আরমর্ড ভেহিক্যাল আছে ১২শ’তাধিক, আর্টিলারি আছে ৪৪০ টি এবং রকেট প্রজেক্টর ৭২ টি।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনী
বিমানবাহিনীর নিজস্ব উইং এ আছে ১২ টি হেলিকপ্টার এবং ১১ টি বিমান। এর পাশাপাশি গোয়েন্দা ড্রোন রয়েছে ৩৬ টি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমান সংখ্যা ১৭৭ টি। যার মধ্যে ৪৪ টি ফাইটার হয়েছে আমাদের অত্যন্ত পরিচিত আটটি মিড-২৯ বিমানগুলো এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে আধুনিক যুদ্ধবিমান।
এর পরপরই আছে চীনের তৈরি ৩৭ টি এফ-৭ মাল্টি রোল ফাইটার। এ বিমানগুলো সোভিয়েত এম-২১ এর উন্নত ভার্শন। অনেক বিশ্লেষকই এ বিমানগুলোকে তুচ্ছ ভেবে থাকেন অথচ রাশিয়া-সি’রিয়া যু’দ্ধেও ৭০ বছরের পুরোনো বিমানগুলো ব্যবহার করে গোটা পৃথিবীতে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলো। এছাড়াও ভারত, পাকিস্তান ও সবচেয়ে শক্তিশালী মুসলিম বিমানবাহিনী মিশরও এ ধরনের বিমান ব্যবহার করে আসছে বাংলাদেশের কাছে ৬৭ টি হেলিকপ্টার থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো এটাক হেলিকপ্টার নেই।
মানব সৃষ্টির বিস্ময় “চিচেন ইতজা”এর ইতিহাস
বাংলাদেশ নৌবাহিনী
বাংলাদেশের ভূখন্ড থেকে জলসীমা বেশি হওয়ায় নৌবাহিনী অনেক বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। মোট ১১২ টি নৌযান আছে নৌবাহিনীর হাতে। এদের মধ্যে সদ্য যুক্ত হওয়া সাবমেরিন বিএনএস-নবযাত্রা জয়যাত্রা সবথেকে কার্যকরী।
বাংলাদেশের আটটি ফ্রীগেট যুদ্ধজাহাজ এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার তৈরি বিএনএস-বঙ্গবন্ধু সবথেকে আক্রমনাত্মক এবং মিসাইল বহন করে থাকে। তবে বর্তমানে ট্রায়ালে থাকা বিএনএস ওমর ফারুক ও আবু ওবাইদা সার্ভিসে নামার পর অন্যতম নির্ভরশীল যু’দ্ধজাহাজে পরিণত হবে। এরকম আরো দুইটি যু’দ্ধজাহাজ খালিদ বিন ওয়ালিদ এবং ওসমান চীনের কাছে নির্মানাধীন রয়েছে।
এছাড়াও বাংলাদেশের কাছে অন্যান্য টহল যুদ্ধজাহাজ আছে ৩০ টি। বাংলাদেশ জন্ম লগ্ন থেকেই সীমিত অ’স্ত্র দিয়ে যু’দ্ধ করে নিজেদের ক্ষমতা প্রমাণ দিয়েছে। আর এই দিকে সামরিক বাহিনীও ব্যতিক্রম নয় তবে সম্প্রতি সরকার সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নে অনেক উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।
[ কেউ আত্মহত্যা বা অন্য কোনো কারণে মৃত্যুর আগে যদি নিরপরাধ আপনাকে দায়ী করে নোট লিখে যায়, তাহলে আপনার কি হবে ভেবে দেখেছেন কি?
কি হবে, কেউ মৃত্যুর পূর্বে আপনাকে দায়ী করে সুইসাইড নোট লিখে গেলে?
“ফেয়ার এন্ড লাভলী” থেকে হঠাৎ কেনো “গ্লো এন্ড লাভলী”! ]