হায়নার হাসি রহস্য
পৃথিবীর হিংস্রতম প্রাণী বল হয় হায়নাকে । বলা হয়, আকারে ছোটো হিংস্রতায় বড় প্রাণী হায়না।এরা এতটাই হিংস্র, জীবিত অবস্থাতেই শিকারের শরীর থেকে মাংশ খুবলে নিয়ে খেতে শুরু করে। দাঁত বসানো যায় এমন সবকিছুই এদের খাদ্যতালিকার অংশ। হায়নার খাদ্যতালিকায় আছে ছোট পাখি থেকে শুরু করে হরিণ, এনটিলোপ এমনকি সিংহও। কিন্তু এই হিংস্র প্রাণীটিকে নিয়ে একটি মজার মিথ প্রচলিত আছে। সেটা হলো হায়না মানুষের মতো হাসতে পারে! এমনকি হায়নার হাসি নিয়ে রয়েছে বাংলায় বাগাধারাও। চলুন পাঠক যেনে নেওয়া যাক হিংস্রতম প্রাণী হায়নার হাসি রহস্য।
সব হায়না হাসে না
পৃথিবীতে ৪ ধরণের হায়না রয়েছে। চিত্রল হায়েনা, বাদামি হায়না, ডোরাকাটা হায়না, আয়ারডল্ফ। এদের মধ্যে হাসির মতো শব্দ করে চিত্রল হায়না। অন্যান্য হায়নাদের থেকে আকারে ও সংখ্যায় বড় এই চিত্রল হায়না। এদের গায়ে ফোটা ফোটা দাগ থাকে। এদের আফ্রিকার সর্বত্র দেখা মেলে।
দাঁত বসানো যায় এমন সবকিছুই এদের খাদ্যতালিকার অংশ
আসলেই কি হায়না হাসতে পারে!
হাসি মানুষের একটি আবেগীয় আচরণ। তবে মজার ব্যাপার মানুষ একমাত্র প্রাণী নয়, যারা হাসতে পারে। অন্যান্য প্রাণী যেমন, শিম্পাঞ্জি, কুকুর, এমনকি ইঁদুরও কাতুকুতু দিলে হাসে । তবে হায়না হাসতে পারে না।
গ্রানি স্পাইঃ ৪০ বছর ধরে রাশিয়াকে ব্রিটেনের পরমাণু তথ্য পাচারকারী গুপ্তচর
হায়নার হাসি রহস্য
তাহলে হায়নার হাসি রহস্য কি ? মূলত হায়নার ডাক বা আওয়াজ মানুষের হাসির মতো শোনায়। একারণে হায়না শব্দ করলে মনে হয়, হায়না হাসছে।
হায়না সামাজিক প্রাণী, এরা দলবদ্ধ হয়ে শিকার করে। একটা দলে ৮০-২০০ টি পর্যন্ত হায়না থাকে। হায়না মূলত নিজেদের মধ্যে যোগযোগ রক্ষা করতে হাসির মত শব্দ করে থাকে। শিকার ধরার ক্ষেত্রে, আসন্ন বিপদ থেকে সকলকে সতর্ক করতে। শত্রুকে ভয় দেখাতে, উত্তেজনায় কিংবা ভয় পেলে এরা শব্দ করে থাকে। যা হাসির মতো শোনালেও হাসি নয়।