‘চাণক্য বাণী বাংলায়’ বিষয়ক অব্যয় মিডিয়ার আজকের লিখায়, মূলত এবিষয়ে জগৎ বিখ্যাত মহান মনীষী চাণক্যর উক্তি তুলে ধরা হয়েছে। ব্যক্তিজীবনের উত্থান পতনে অভিজ্ঞতা থেকে ‘চাণক্যর বাণী বাংলায়’ গুলো আপনার সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করতে ও দিক নির্দেশনা দিবে, যা আমাদের জীবনে সফলতার দাঁড় গোড়ায় নিয়ে যায়।
তো, চলুন পাঠক দেখে নিই বিভিন্ন সময় ও প্রেক্ষাপটে ‘চাণক্য বাণী বাংলায়’ সমূহ।
চাণক্য বাণী বাংলায়
অলস শিক্ষার্থীরা ঠিক ততটাই জ্ঞান অর্জন করতে পারে, যতটা তাদের পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রয়োজন।
নানাভাবে শিক্ষা পেলেও দুর্জন সাধু হয় না,নিমগাছ যেমন আমূল জলসিক্ত করে কিংবা দুধে ভিজিয়ে রাখলেও কখনও মধুর হয় না।
দুর্জন ব্যক্তি বিদ্যান হলেও যেকোনো মূল্যে তাকে এড়িয়ে চলা উচিত,কারন মণিভূষিত বিষাক্ত সাপও অধিক ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে।
যেইসব শিক্ষার্থীরা দিনের বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে নষ্ট করে আর প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঘুমানো পছন্দ করে, সেইসব শিক্ষার্থীরা জীবনে সফল হতে পারেনা এবং তারা বেশিরভাগ কাজ ঠিক মতো করতে অক্ষম হয়
একটি চাকরের পরীক্ষা তখনই নেওয়া উচিত, যখন সে তার কর্তব্য পালন না করে |
আত্মীয়পরিজনদের চেনা যায় তখনই,যখন আপনার চারিদিকে বিপদ ঘনিয়ে আসবে | একজন বন্ধুকে চিনতে পারবেন সেদিনকে, যেদিন আপনি বিপরীত পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন | আর যখন আপনার সময় ভালো যাবেনা, তখন আপনি আপনার নিজ স্ত্রীকে চিনতে পারবেন
যারা পরিশ্রমী,তাদের জন্যে কোনকিছুই জয় করা অসাধ্য কিছু নয়। শিক্ষিত কোন ব্যক্তির জন্যে কোন দেশই বিদেশ নয়।
গুণহীন মানুষ যদি উচ্চ বংশেও জন্মায় তাতে কিছু আসে যায় না। নীচকুলে জন্মেও যদি কেউ শাস্ত্রজ্ঞ হয়,তবে দেবতারাও তাঁকে সম্মান করেন।
সদগুণ সম্পন্ন একজন পুত্র,অযোগ্য শত শত পুত্রের চেয়ে অনেক শ্রেয়। কারণ রাতের আকাশে একটিমাত্র চাঁদই কিন্তু আকাশের সমস্ত অন্ধকারকে দূর করতে পারে।
একজন প্রকৃত বন্ধু হলো সেই যে আপনার কোনো প্রয়োজনে, আপনার কোনো দুর্ঘটনায়, দুর্ভিক্ষের সময়, যুদ্ধ লাগলে এবং জীবনের শেষ সময়ে পাশে থাকবে
একজন পন্ডিত ব্যক্তিও ঘোর দুঃখকষ্টের স্বীকার হতে পারেন যদি সে, একজন মূর্খ ব্যক্তিকে উপদেশ দেন অথবা কোনো দুষ্ট স্ত্রীর ভরন পোষণে লিপ্ত হন কিংবা কোনো দুঃখী ব্যক্তির সাথে দৈনন্দিন সম্পর্ক স্থাপন করেন।
গুরু শিষ্যকে যদি একটি অক্ষরও শিক্ষা দেন,তবে পৃথিবীতে এমন কোনও জিনিস নেই,যা দিয়ে সেই শিষ্য গুরুর ঋণ শোধ করতে পারে।
অলস শিক্ষার্থীরা ঠিক ততটাই জ্ঞান অর্জন করতে পারে, যতটা তাদের পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রয়োজন
বিদ্বান সকল গুণের আধার,অজ্ঞ সকল দোষের আকর।তাই হাজার মূর্খের চেয়ে একজন বিদ্বান অনেক কাম্য।
যেইসব শিক্ষার্থীরা দিনের বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে নষ্ট করে আর প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঘুমানো পছন্দ করে, সেইসব শিক্ষার্থীরা জীবনে সফল হতে পারেনা এবং তারা বেশিরভাগ কাজ ঠিক মতো করতে অক্ষম হয়।
শেষ কথা (চাণক্য বাণী বাংলায়)
আশা করছি অব্যয় মিডিয়ার আজকের এই লিখাটি, ‘চাণক্য বাণী বাংলায়’ আপনাদের জীবনে চলার পথে অনুপ্রেরণা জোগাবে ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।