বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। দিন দিন অনলাইনের প্রতি মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিজিটাল এই যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রসার সমগ্র দেশ জুড়ে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে সুন্দর ক্যারিয়ার গড়ে নিচ্ছেন অনেক মানুষ।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে – অনলাইনে কোনো পন্য, ব্রান্ড, কোম্পানি ইত্যাদির প্রচারনা করা। ধরুন, আপনার একটি জুতার কোম্পানি আছে। জুতা গুলোকে বিক্রি করার জন্য মানুষের সামনে আপনার পন্য কে নিয়ে আসতে হবে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, কোনো কিছুকে মানুষের সামনে অনলাইনে উপস্থাপন করার প্রক্রিয়াকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন শিখবো?
দিন দিন অনলাইনের প্রসারের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় ৭০% মানুষ অনলাইন এর উপরে নির্ভরশীল। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার অনেক কারন রয়েছে তন্মধ্যে অন্যতম কয়েকটি বিষয় হলো:-
১- আপনার দোকানে দোকানে ঘুড়ে আপনার পন্যের মার্কেটিং করতে হবে না। আপনার নিজের পন্য না থাকলেও অন্যের প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করে টাকা আয় করার সুজোগ পাবেন।
২- অল্পখরচে অধিক কাস্টমার নিশ্চিত করার সুজোগ। আপনার কোনো ব্রান্ড বা কোম্পানিকে খুব কম খরচে অনলাইনে প্রমোট/ বুস্টিং এর সুবিধা পাবেন।
৩- কোন পন্যটি মানুষ বেশী চায়। কোন জিনিস গুলো ট্রেন্ড আছে। এসব জিনিস গুলোকে আওতাভুক্ত করে ডিজিটাল মার্কেটিং।
৪- ফ্রিল্যান্সিং এর অন্যতম বড় মাধ্যম ডিজিটাল মার্কেটিং। অধিক দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে না। অল্প দক্ষতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।
আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপকারিতা বলে শেষ করার মত নয়। তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারের সাথে সাথে সেটার উত্তম ব্যাবহার আপনাকে সুন্দর ক্যারিয়ার এর স্বপ্ন বুনতে সাহায্য করে।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়?
যেকোনো কিছু নিজের আয়ত্তে নিতে হলে সবার আগে যে ২ টি গুন প্রয়োজন, আত্ববিশ্বাস আর পরিশ্রম। অনলাইনে প্রচুর পরিমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর পেইড কোর্স পাওয়া যায়। ইউটিউব, ব্লগার সাইট ইত্যাদি জায়গাগুলোতে প্রচুর পরিমানে আর্টিকেল, ভিডিও প্রকাশিত হয়। প্রত্যেকটি বিষয় কে ভালভাবে বুঝার পর আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য নেমে পড়ুন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপকতা অনেক বিস্তৃত। ডিজিটাল মার্কেটিং এর সীমাবদ্ধতা নেই বললেই চলে। তন্মধ্যে বেস্ট ৪ টি মাধ্যম ডিজিটাল মার্কেটিং এর –
১- সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং –
ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম বেস্ট মাধ্যম সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার ইত্যাদি প্লাটফর্ম গুলো সারাবিশ্বে অধিক জনপ্রিয়। যেসকল সাইট গুলোতে অধিক পরিমানে ভিজিটর থাকে অইসব সাইটে ব্রান্ডিং প্রমোশন এর মাধ্যমে পন্যের প্রচারনা চালানো সম্ভব সহজ ভাবে। ফেসবুক বা ইউটিউবে ভিডিও মার্কেটিং করার উপায় তো থাকছেই। সোস্যাল মিডিয়া ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম রিসোর্স।
২- এফিলিয়েট মার্কেটিং-
অনলাইনে হয়ত আপনিও ২/১ বার অজান্তেই এফিলিয়েট মার্কেটিং কথা শুনেছেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর অংশ। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনি আপনার সাইটে অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করে লাভ্যাংস টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কাস্টমার রেফার করেও টাকা আয় করা যায়।
৩- কন্টেন্ট মার্কেটিং –
কনটেন্ট দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটং করতে পারবেন। আপনি কোনো সোস্যাল ইনফ্লুয়েন্সার হলে আপনার জন্য কাজটি একেবারেই সহজ। ভিডিও তৈরির পাশাপাশি এফিলিয়েট ব্রান্ডিং করে ডিজিটাল মার্কেটিং করা সম্ভব।
৪- ব্লগিং/ ওয়েবসাইট –
আপনার ব্লগিং বা ওয়েবসাইটের উপরে দক্ষতা থাকলে সাইট থেকেও ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন। এ ছাড়াও ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব। দেশে প্রচুর পরিমানে ই-কমার্স সাইট তৈরি হচ্ছে।
শেষকথা, অনলাইনে বেকার সময়কে কাজের লাগিয়ে নিজের সুন্দর ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক হতে পারে ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ শুধু মাত্র ১/২/৩/৪ টি তে সীমাবদ্ধ নয়। আপনার প্রয়োজন বা দক্ষতা অনুযায়ী যে কাজটি আপনার পছন্দের সেটাকে কেন্দ্র করে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।