‘গান্ধীজীর বাণী’ বিষয়ক অব্যয় মিডিয়ার আজকের লিখায়, মূলত এবিষয়ে জগৎ বিখ্যাত মহান মনীষী গান্ধীজীর উক্তি তুলে ধরা হয়েছে। ব্যক্তিজীবনের উত্থান পতনে অভিজ্ঞতা থেকে ‘গান্ধীজীর বাণী’ গুলো আপনার সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করতে ও দিক নির্দেশনা দিবে, যা আমাদের জীবনে সফলতার দাঁড় গোড়ায় নিয়ে যায়।
তো, চলুন পাঠক দেখে নিই বিভিন্ন সময় ও প্রেক্ষাপটে ‘গান্ধীজীর বাণী’ সমূহ।
গান্ধীজীর বাণী
1. সামান্য অভ্যাস অধিক উপদেশের থেকে ভালো।
2. আমার অনুমতি ছাড়া কেউ আমাকে আঘাত করতে পারবে না।
3. আপনি নিজে সেই পরিবর্তন হোন যা আপনি সারা বিশ্বে সবার মধ্যে দেখতে চান।
4. যে দুর্বল সে কোনদিনও ক্ষমা করতে পারে না। ক্ষমা হলো বলবান এর লক্ষণ।
5. মানুষ তার চিন্তাধারা নির্মিত প্রাণী, সে যা ভাবে তাই হয়ে যায়।
6. সত্য একটি প্রকাণ্ড বৃক্ষের মতো। সঠিক ভাবে পালন করলে তা ভালো ফল দেয়। সত্য একাই টিকবে, বাকি সময়ের স্রোতে ভেসে যাবে।
7. নিজেকে জানার সর্বশেষ্ঠ পথ হলো নিজেকে অন্যের সেবায় নিয়োজিত করা।
8. এমন ভাবে বাঁচো যেন কাল তুমি মরবে। এমনভাবে শেখো যেন তুমি সর্বদা বাঁচবে।
9. পরাজয়ই নেতার জন্ম দেয়। সাফল্য তবে গর্বের পরাজয়ের সমষ্টি।
10. হিংসা গড়তে জানে না। সে শুধু ধ্বংস করে।
11. যেখানে ভালবাস রয়েছে, সেখানেই তো জীবনের সন্ধান মেলে।
12. প্রত্যেক মানুষকে তার নিজের মধ্যেই শান্তি খুঁজতে হবে। আর শান্তি কে বাস্তবায়িত করার জন্য বাহ্যিক পরিস্থিতি দ্বারা নিজেক অপ্রভাবিত রাখতে হবে।
13. তুমি আমাকে শিকলে বেঁধে রাখতে পারো, তুমি আমাকে কষ্ট দিতে পারো, তুমি আমার এই শরীর নষ্ট করতে পারো, কিন্তু তুমি আমার মনকে কোনদিনই বন্দী করে রাখতে পারবেনা।
14. আমি দেশেপ্রেমে বিশ্বাস করি না। যা অন্যের দেশভক্তিকে ছোট করে।
15. হিংসার ছাপ সহজে মিটতে চায় না। তাই অহিংসার পথে এগলেই মানুষের মঙ্গল।
16. আমরা যদি দুনিয়াতে প্রকৃত শান্তি চাই, তবে তা শিশুদের সাথে শুরু করতে হবে।
17. আমি হিংসার বিরোধিতা করি কারণ যখনই মনে হয় হিংসার দ্বারা কিছু ভালো হচ্ছে তখন সেটা অস্থায়ী হয় আর যখন খারাপ হলে সেটা স্থায়ী হয়।
18. যে কোনও সময়ই মৃত্যু আশীর্বাদস্বরূপ। তবে লক্ষ্যের জন্য যে যোদ্ধা মৃত্যুকে বরণ করেন, তিনি দ্বিগুন আশীর্বাদপ্রাপ্ত। মৃত্যুই এমন এক ধ্রুব সত্য, যার কোনও বিনাশ নেই।
19. জাতীয় অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য সমাজের সব স্তরের, সব ধর্মের মানুষ একত্রিত হওয়া।
20. প্রথমে তারা তোমাকে অপেক্ষা করবে, তারপর তারা তোমাকে নিয়ে ঠাট্টা করবে, তারপর তারা তোমার সাথে লড়াই করবে, তারপর তুমি বিজয়ী হবে।
21. যেই দিন প্রেমের শক্তি, শক্তির প্রেম থেকে বড় হবে সেই দিন বিশ্বে শান্তি কায়েম হবে।
22. শান্তির কোন পথ নেই, কেবলমাত্র শান্তি আছে।
23. যে সত্যে নম্রতার ছোঁয়া নই, সেই সত্য অহংকারীর ক্যারিকেচার ছাড়া আর কিছুই নয়।
শেষ কথা (গান্ধীজীর বাণী)
আশা করছি অব্যয় মিডিয়ার আজকের এই লিখাটি, ‘গান্ধীজীর বাণী’ আপনাদের জীবনে চলার পথে অনুপ্রেরণা জোগাবে ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।